মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুলিশি ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ প্রাণ হারালে তা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বর্ণবাদ ও পুলিশি নৃশংসতার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন। এ আদেশে কারো গলা পেঁচিয়ে ধরার পুলিশি নিয়ম বাতিলের কথা বলা হয়েছে।
তবে কোন পুলিশ কর্মকর্তার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করলে তিনি এ পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন।
এছাড়া এ সংস্কারের মধ্যে থাকছে পুলিশের বিচক্ষণতা বাড়ানোর জন্যে অনুদান বৃদ্ধি এবং সমাজকর্মীদের সাথে নিয়ে পুলিশও যেন স্থানীয় কাজে সহায়তার জন্যে দক্ষতা অর্জন করতে পারে তার উদ্যোগ।
আরো রয়েছে পুলিশ সার্ভিসে দক্ষ জনবল নিয়োগ, খারাপ রেকর্ডধারী পুলিশের তথ্য শেয়ার এবং মানসিক ও মাদকসেবনকারী লোকজনের কাজের সাথে সম্পর্কিত জটিল দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সহায়তা অর্থ বরাদ্দ ইত্যাদি।
রোজগার্ডেনে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ব্যর্থতার পুরনো নিদর্শনগুলো আমাদের ভেঙে ফেলা উচিত।
তিনি তার এ উদ্যোগকে দুর্দান্ত উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি নিরাপদ, সুন্দর ও মার্জিত ন্যায়বিচারমূলক পদক্ষেপ। তবে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেট দলের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্ণবাদী অবিচার ও পুলিশের নৃশংসতার মহামারি ঠেকাতে প্রেসিডেন্টের এই নির্বাহী আদেশ খুবই দুূর্বল। তিনি বলেন, দেশজুড়ে ক্ষোভের এ সময়ে আমাদের দরকার বড়ো ধরণের সাহসী পরিবর্তন।
এছাড়া নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন এ নির্বাহী আদেশকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে বলেছেন, ট্রাম্প বড়ো ধরণের কোন পুলিশি সংস্কার দিতে পারেননি যা আমাদের প্রয়োজন।