অবশেষে সৌদি আরব স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে যে, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে খুন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিংবা সৌদি শাসকদের উচ্চ পর্যায়ের কারো জড়িত থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর জানান, এ ঘটনা ছিল একটি ‘ভয়ানক ভুল’। এর সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কোনোভাবেই জড়িত নন। এ হত্যার জন্য ‘বাজে অপারেশন’ দায়ী।
তিনি আরও বলেন, ‘সব প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই বাজে অপারেশনের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন না।’
সৌদি আরব প্রথম খাশোগির সাথে কী হয়েছে তা জানে না বলে জানায়, খাশোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে জীবিত বের হয়ে গেছেন। তবে তুরস্ক সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ ও কনস্যুলেটের ভেতরের অডিও বার্তার রেকর্ড থাকার কথা বললে সৌদি আরব বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার বলে, খাশোগি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘুষাঘুষির এক পর্যায়ে নিহত হন। তবে খাশোগির লাশ কোথায় তারা তা জানে না বলে জানায়। খাশোগি হত্যায় সৌদি আরবের এ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিশ্ব। ফলে বাধ্য হয়েই রোববার সৌদি আরব খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয়।
আদেল আল-জুবেইর বলেন, সৌদি আরব জানিয়েছে, খাশোগি হত্যায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী গোয়েন্দাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এটি করেছে, তারা তাদের কর্তৃত্বের বাইরে গিয়ে এ কাজ করেছে। সেখানে অবশ্যই কোনো ভয়ানক ভুল হয়েছে এবং এই ভুলকে আরো জটিল করেছে এটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা জানেন না খাশোগির লাশ কোথায়। তিনি জোর দিয়ে জানান, এ হত্যার আদেশ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেননি।
এদিকে, খাশোগি হত্যার ঘটনায় ফোন করে তার ছেলে সালাহের কাছে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি