পদ্মা সেতুর কারনে ঝালকাঠি থেকে ঢাকার দূরত্ব কমছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে ঝালকাঠির মানুষ দৌলতদিয়া থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা যেতো। নব্বই দশক থেকে কাওড়াকান্দি-মাওয়া হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঝালকাঠির মানুষ ঢাকার সায়েদাবাদ যাওয়া শুরু করে। তখন এ রুটে ফেরি ছিল সাতটি। আর এখন কোন ফেরিই থাকছে না।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গণনার সাথে-সাথে উপকূলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি জেলার পরিবহন ব্যবসায়ী বাস শ্রমিকদের মধ্যে নতুন আশা দেখা দিয়েছে। ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে প্রায় ১০০ বাস রয়েছে। এ বাসগুলো নিয়মিত ঝালকাঠি-বরিশাল রুটে চলাচল করে। এ রুটের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। এ ছাড়া আশপাশের দু’একটি রুটে বাসচলাচল করলেও সেখানে ট্রিপের সংখা খুবই কম। পদ্মা সেতু চালু হলে ঝালকাঠি থেকে ঝালকাঠি সমিতির বাস সরাসরি ঢাকা রুটে চলাচল করবে। এতে মালিকদের পাশাপাশি লাভবান হবেন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন বেকার থাকা বাস শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ঝালকাঠি জেলা সদর থেকে লঞ্চ বা বাসযোগে ঢাকা পৌঁছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ১৬ঘন্টা । আবার কখনও ফেরিঘাটে যানজটের কারনে সময় লেগে যেতো ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে মাত্র ৫ মিনিটে বাসযোগে সেতু পাড়ি দিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় পৌছানো যাবে ঢাকা, এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত গল্প।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং এর ওপর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হলে ঝালকাঠি জেলার বাস মালিক এবং শ্রমিকরা কিভাবে উপকৃত হবে সেই স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন জেলার পরিবহন সাথে যুক্তরা।