স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সব হাসপাতালে শক্ত তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে মানুষ যেন ঠিকমতো সেবা পায়, সে লক্ষ্যে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি, যার সুফল অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের সামনে প্রতীয়মান হবে।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ দিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে হাসপাতালটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এ হাসপাতালের মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। সব ধরনের জটিল চিকিৎসাসেবা এ হাসপাতালে দেওয়া হবে। রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না।”
জাহিদ মালেক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাস্থ্যসেবার সব দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি মাত্র তিন বছর সরকার পরিচালনার সময়ে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) স্থাপন করেছেন, বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস), বঙ্গ হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা, স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আজ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সেখানে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত মা ও শিশুরা সেখানে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। এর মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহারও কমছে।”
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছি। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট, কিডনি ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য ইনস্টিটিউট করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাসপাতালগুলোতে নতুন করে ৪০ হাজার শয্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে নতুন করে ৭ হাজার সিট বেড়েছে। আমরা শতভাগ ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চতর শিক্ষায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, যা আগে ছিল না। প্রায় ২৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারি খাতে স্থাপন করেছেন।