নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দিঘিতে জাল ফেলে মিলল এক মণ ওজনের তিনটি বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ। মাছগুলো তাৎক্ষণিক ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কমলার দিঘিতে জাল ফেললে করালগুলো উঠে আসে।
জানা যায়, কমলার দিঘিটি চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণে। শুক্রবার সকালে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আজাদ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জাল ফেলেন। জাল ফেলার খবরে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা। প্রথমবার জাল ফেললে মাছগুলো জাল কেটে বের হয়ে যায়। ফের আবার জাল ফেললে একসঙ্গে তিনটি বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো রিপন বেপারী এক হাজার টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এ সময় কোরাল মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কামরুল ইসলাম মহব্বত গনমাধ্যমকে বলেন, কমলার দিঘিটি ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে আছে। আজ সকালে দুইবার জাল ফেলে তিনটি এক মণ ওজনের কোরাল মাছ পাওয়া যায়। মাছগুলো অন্যান্য মাছের সঙ্গে এক হাজার টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেন রিপন বেপারী।
চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আজাদ গনমাধ্যমকে বলেন, দিঘির পানি কমে আসলে প্রতিবছর এভাবে জাল ফেলে মাছ ধরা হয়। মাছ বিক্রি করে সে টাকা ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা রাখা হয়। বিশাল আকৃতির মাছ হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া গেছে। বড় মাছটি ২০ কেজি আর বাকি দুইটা মাছ ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা জানি সাগরে বড় বড় কোরাল পাওয়া যায়। পুকুরে যে বিশাল কোরাল মাছ হয় তা আমি আজকেই প্রথম দেখলাম। মাছগুলো দেখলে যে কারো মন ভরে যাবে।