এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) করপোরেশনের কাঁঠালবাগান, সিপাহীবাগ এলাকার আশপাশ ও দক্ষিণ বনশ্রীর আশপাশ, মাহাদীনগরের মোল্লাবাড়ি, রাজাখালি, নড়াইবাগ, আগামাসি লেন, মেরাজনগর, সেনোলাক্স গলির ডি ব্লক, পূর্ব-পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালবাগান এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং দুইটি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপাহীবাগ এলাকার আশপাশ ও দক্ষিণ বনশ্রীর আশপাশ এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাদীনগরের মোল্লাবাড়ি এলাকায় ৯০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে বিপুল পরিমাণ এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগামাসি লেন এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব-পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় ১৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাখালি, নড়াইবাগ এলাকায় ৬৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান এবং একটি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিককে সতর্ক করেন।
১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফীন ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাজনগর, সেনোলাক্স গলির ডি ব্লক এলাকায় ৫৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি বাসা বাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে তিন নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক বলেন, ‘আজকের অভিযানে ৩টি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। এ সময় প্রত্যেকটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
আজকের অভিযানে মোট ৫৩৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩টি মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।