গত ১৫ বছর এ দেশে কোন মানুষের শাসন ছিল না। ফ্যাসিস্ট শাসন ছিল। এবং আওয়ামী লীগের আ লিখতে গেলেও ১০ বছর সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ইটনা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান আরও বলেন, আজকে দেশে নতুন সরকার এসে। নির্বাচনের কথা শুনলে বর্তমান সরকারের মুখ কালো হয়ে যায়। এতোদিন থাকতে চান কে? এইটা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ যদি ৫বছর হয় তাহলে অনির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ৩ থেকে ছয় মাস হবে। আপনারা দশ বছর থাকতে চান কেন? ইলেকশান করবেন না?। বিএনপি’র মতো একটি রাজনৈতিক দল এই মুহুর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি ৯০ শতাংশ আসন পাবে। তাহলে বিএনপি বসে থাকবে কেন? আপনি দেশ চালাইবেন, নাক টিপ দিলে দুধ বের হবে, কে আপনি?
তিনি আরও বলেন, আমাদের মহসচিব প্রতিদিন বলেন, দ্রুত নির্বাচন দেন। নির্বাচন দিতে যত দেরি হবে দেশ তত জটিলতার দিকে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমস্যার সমাধান হবে। এখন তো সবাই বলে আমি জনপ্রিয়। নির্বাচন দিয়ে পরীক্ষা করেন বাংলাদেশের মানুষ কোন পথে আছে। নির্বাচন না হলে তো জনপ্রিয় কে জানা যাবে না। যদি আপনারা ইলেকশান করতে চান। আপনা যদি দল করেন, আসেন মাঠে ইলেকশান করে দেখেন। মানুষ যদি আপনাদেরকে ভোট দেয় আপনারা দেশ চালাবেন।
এসময় ইটনা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, আশফাকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন, ইটনা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম জুয়েল, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, মিঠামইন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের মালা পড়িয়ে ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়।