টানা দ্বিতীয় বছর ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পাঁচবার এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বিজয়ী রোনালদো ২০১৭ সালে শেষবার এটি জিতেছিলেন। সে জন্য কি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার যারা আয়োজন করেন, তাদের ওপর সিআরসেভেন কিছুটা ক্ষিপ্ত? সম্প্রতি রোনালদোর তীর্যক মন্তব্যে এমনটা মনে হতেই পারে।
গত ৮ আগস্ট, পর্তুগালে প্রীতি ম্যাচে রিও আভেকে ৪-০ গোলে হারায় রোনালদোর দল আল নাসর। সেদিন সৌদি ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। এ ম্যাচের পর ‘স্পোর্ট টিভি পর্তুগাল’ পর্তুগিজ যুবরাজের কাছে জানতে চেয়েছিল, এবার ব্যালন ডি’অর কে জিততে পারেন? এ প্রশ্নের জবাবে ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে রোনালদো এককথায় বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনগড়া লাগে।’ অর্থাৎ ব্যালন ডি’অরের ওপর নিজের আস্থা হারানোর বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ৪০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
ব্যালন ডি’অর নিয়ে আস্থাহীনতার কথা এর আগেও বলেছেন পাঁচবারের পুরস্কারজয়ী এ তারকা। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রির হাতে পুরস্কার ওঠায় অসন্তোষ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ফেবারিট হয়েও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কারটি জিততে না পারায় রোনালদো বলেছিলেন, ‘কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পুরস্কারটি ভিনিসিয়ুসের জেতা উচিত ছিল। অনেকবার আমার এটাই মনে হয়েছে এবং রাগ লেগেছে।’
এবার ব্যালন ডি’অরে মনোনয়ন না পেলেও ২০২৪-২৫ মৌসুম কিন্তু খারাপ কাটেনি পর্তুগিজ কিংবদন্তির। ক্লাবের হয়ে ৩৫ গোলের পাশাপাশি দেশের হয়ে করেছেন ৮ গোল। জিতেছেন নেশনস লিগ শিরোপা।
এদিকে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো তার একসময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আটবার ব্যালন ডি’অরজয়ী লিওনেল মেসিও এবার মনোনীতদের তালিকায় দ্বিতীয়বারের মতো ঠাঁই পাননি। তবে, মেসির পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কিছু শোনা যায়নি।