চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাজরি ও দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পাটাচোরা গ্রামের মল্লিকপাড়া গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে বৃদ্ধ আহম্মেদ আলী (৬০)।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দীন জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাঠে কাজ করছিলেন আহাম্মদ মল্লিক। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে আহাম্মদ মল্লিক মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেয়। পথে বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে দর্শনা থানা পুলিশ বজ্রপাতে যুবক রুবেল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ৯টার দিকে দর্শনা থানার ঝাজড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল বস্তির পাশে একটি দোকানে বসেছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রুবেল মারা যায়।
এদিকে গোবিন্দহুদা গ্রামে বজ্রপাতে আহত গৃহবধূ টুনু খাতুনের স্বামী মিলন মিয়া জানান, বৃষ্টির সময় বাড়িতে ঘরের দরজায় বসেছিল আমার স্ত্রী। এমন সময় বাড়ির উঠানে বজ্রপাত হলে সে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. হেলেনা আক্তার নিপা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই বজ্রপাতে কৃষক আহাম্মদ মল্লিক মারা যায়। এছাড়া আহত টুনু খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দামড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দর্শনা থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় এক অংশ পুড়ে গেছে।