শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করায় এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একদিন পর ওই কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
হাত-পা বাঁধা কিশোরীকে উদ্ধার, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে
শুক্রবার (৩১ জুন) রাতে সিধলকুড়া কাঠের ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল উপজেলার ছোট সিধলকুড়া এলাকার খোদা বক্স প্যাদার ছেলে ও গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম প্যাদার (১৯) সঙ্গে। সম্প্রতি তাদের প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়ন হলে ২০ দিন আগে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওই কিশোরী। এরপর থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক সিয়াম। গত বৃহস্পতিবার ওই কিশোরী কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সে ডামুড্যার ফরাজির টেক পৌঁছালে সিয়াম ও তার চার সহযোগী ওই কিশোরীর গতিরোধ করে এবং কিছু না বোঝার আগেই তার হাত-মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ চালাতে থাকে, একপর্যায়ে খোঁজ না পেলে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে শুক্রবার রাতে সিধলকুড়া কাঠের ব্রিজ এলাকায় ওই কিশোরীর চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, সিয়ামের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে আমাদের সম্পর্কে ভেঙে যায়। আমি কলেজ থেকে ফেরার পথে সিয়াম ও চারজন ছেলে আমাকে জোর করে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমার সঙ্গে সবাই খারাপ কাজ করেছে। আমি সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজ হলে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। রাতে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি আমার মেয়ে হাত-পা আর চোখ বাঁধা অবস্থায় সিধলকুড়া ব্রিজে পড়ে আছে। পরে আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। যারা আমার মেয়ের সঙ্গে এমন করেছে তাদের সকলের আমি উপযুক্ত শাস্তি চাই। যাতে অন্য কোনও বাবার সন্তানের সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে এক কিশোরীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। এটি ধর্ষণ কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ করা ও ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ফলাফল আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত সিয়াম প্যাদার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনের নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু
গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন
নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা
ট্রাম্প আগাম বিজয় ঘোষণা করলে তা ঠেকাতে প্রস্তুত ডেমোক্র্যাটরা
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সাইবেরিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৪
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ শিশুসহ ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত
