ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে গতরাতে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কয়েকটি ইউনিয়নের মোট ১৪টি নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব এর শামসুদ্দিন মোল্যা মিলনায়তে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাব বোসসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নৌকার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ বোস। তিনি বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও কয়েকটি ইউনিয়নের মোট ১৪টি নির্বাচনী ক্যাম্পে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ শহরের বাইরে থেকে অপরিচিত লোকজন এনে বাসা ভাড়া করে রাখছে।
নৌকার প্রার্থী শামীম হক জানান, নির্বাচনের আর একদিন বাকি। এখন এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কী লাভ হলো। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, মানুষ নির্বাচনী ক্যাম্পে আসবে, বসবে। সেটাও তাদের সহ্য হলো না। আমি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, আপনাদেরও জানালাম। আমার মিডিয়া নাই, টাকা নাই, আমি অসহায়। দয়া করে আপনারা আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবরটি দেশবাসীকে জানাবেন।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়াও ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। এছাড়াও প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টিও। রয়েছে বিএনএম, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী। এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে নৌকা ও ঈগলের
মাঝে।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফুল হোসেন বলেন, সংসদ নির্বাচনে নাগরিকরা যেন ম্যাপ দেখে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আছে অ্যাপে। এছাড়াও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য নিয়ে দুই ঘণ্টার পরপর আসনভিত্তিক ভোট পড়ার হার জানা যাবে। প্রার্থীর ছবিসহ তথ্যও পাওয়া যাবে অ্যাপে। অন্যান্য নির্বাচনের তথ্যও দেওয়ার চেষ্টা করছি। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।
অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। পরবর্তীতে কেন্দ্রের নাম, কেন্দ্রের লোকেশন, ভোটার নম্বর, প্রার্থীদের নাম ও ছবি প্রভৃতি তথ্য জানতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ দিলেই নিমিষেই মিলবে চাহিদা মোতাবেক তথ্য।
অ্যাপটি গত ১২ নভেম্বর উদ্বোধন করে নির্বাচন কমিশন। গুগল প্লে স্টোর বলছে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে এটি।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২৮টি দল ও স্বতন্ত্রদের নিয়ে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ১ হাজার ৯৭০ জন। এতে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।