কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় তামাক নিয়ে দ্বন্ধের জেরে মারধর করায় থানায় অভিযোগ দেন বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মারা যায় ছেলে তামিম হোসেন। এ ঘটনায় তামিমের বাবা হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত তামিম হোসেন ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় মুন্সিপাড়া গ্রামের শাহিন ইসলামের ছেলে। মামলার আসামিরা হলেন- একই এলাকার আমজাদ হোসেন, তার মেয়ে আদুরী খাতুন ও ছেলে রকি। এছাড়া আমজাদের শশুরবাড়ির আত্মীয় মো. শাহিন, শোভন, সোহানকেও আসামি করা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ মার্চ সকালে উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের শাহিন ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশি আমজাদ হোসেনের তামাক নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহিনকে মারধর করে আমজাদ। এ ঘটনায় আমজাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় অভিযোগ দেয় শাহিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ মার্চ সকালে আমজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় শাহিনের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকেসহ তার ছেলেকে মারধর করে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তামিমের মাথার পেছনে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা শাহিন ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার ছেলে মোটরসাইকেলে করে বাইরে বের হই। অভিযুক্তরা আমাদের পথ আটকিয়ে আতর্কিতভাবে মারধর করে। রকি আমার গলায় হাসুয়া ধরে রাখে। এ সময় শাহিন নামে ছেলেটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আমার ছেলের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে জোরে আঘাত করে। সেই যে ছেলের জ্ঞান হারাল, আর ফিরে আসেনি।’
ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই আসামিরা পালিয়ে গেছে। তবে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।’