সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিকদলের সমাবেশে স্টেজে ওঠাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল স্ট্যান্ড এলাকায় শিল্পাঞ্চলে কারখানায় ভাঙচুর ও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টিকারীসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে এই ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা মাজহারুল ইসলাম ছাড়া আহত বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদরশীরা জানায়, আজ বিকেলে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আশুলিয়া থানা ইউনিটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে ট্রাকের অস্থায়ী স্টেজে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রথমে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এসময় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম খানকে স্টেজ থেকে ফেলে দেয়ার পর এক গ্রুপ এসে তাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আহত মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, আমি ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের রানিং সাধারণ সম্পাদক। আমাকে স্টেজ থেকে ফেলে দেয়া হয়। গফুর চেয়ারম্যান ও মোখলেস খাঁনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে, আমিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
তবে এব্যাপারে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘সমাবেশে ট্রাকে অবস্থান করা নিয়ে বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহজারুল ইসলাম খানকে নিচে ফেলে দেয়া হয়। পরে বেশ কিছু লোকজন তাকে কিল-ঘুষিসহ চেয়ার দিয়ে মারধর করেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে থাকায় আমি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে পারিনি।’