আনতারা রাইসা : সামনেই আসছে ঈদ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমাদের ঈদ হবে এবার বাসার ভিতরেই। কিন্তু বাড়িতেও কিন্তু একটু কষ্ট করলে আনা যায় উৎসবের আবহ। ঘরে থাকা পোশাকে একটু নতুন কিছু যোগ করে, নতুনভাবে পরে সেটাকে বানিয়ে ফেলা যায় ঈদপোশাক।
বাড়ির আলমারিতে অনেক পোশাক থাকে, যেগুলো সেভাবে পরা হয়নি, কিছু হয়তো ছুঁয়েই দেখা হয়নি। সেগুলোই হতে পারে ঈদ ফ্যাশনের প্রধান অনুষঙ্গ। পুরোনো শাড়ির সাথে বাসায় থাকা টপ্স বা ছোট কটি মিলিয়ে পরলেই হয়ে যেতে পারে নতুন ফ্যাশন।
বেশি ঘের দেওয়া পালাজ্জো পরলেই চেহারায় আসে একটা উৎসব উৎসব আমেজ। বিশ্বাস হচ্ছে না? এবার ঈদে পরে দেখুন। পালাজ্জো তো প্রায় সবার সংগ্রহেই থাকে। সবচেয়ে বেশি ঘের দেওয়া পালাজ্জো এখনই আলাদা করে রাখুন। সঙ্গে লম্বা কামিজ পরতে পারেন। বড় নকশার মালা ঝুলিয়ে নিন গলায়। আর আলাদা কিছু করতে হবে না আপনার ঈদের সাজে।
এদিকে ফেসবুকে ছবি দেওয়ার জন্য বা সবার সঙ্গে ভিডিও কলে আড্ডা দেওয়ার জন্যই হোক, ঈদের দিন বিকেল বা রাতেও পোশাকে সেই আমেজ থাকা চাই। বিকেল বা রাতে মসলিন বা সিল্কের একরঙা পোশাক পরতে পারেন। হাতার কাটে নতুনত্ব আছে এমন টপ বা ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। একটু পুরোনো টপ হলেও ক্ষতি নেই। আর তা যদি না থাকে হাতে, তো এখনো অনেক সময় আছে।
অন্য কোনো পোশাকে ফুলেল নকশার হাতা থাকলে তা খুলে টপের হাতায় জোড়া লাগিয়ে নিতে পারেন। বাড়িতে সেলাই মেশিন থাকলে তো কথাই নেই, তবে সুই–সুতা দিয়েও কিন্তু হাতা জোড়া লাগানোর কাজটি করা যায়।
আবার পুরো সেট একসঙ্গে না পরে এক সেটের পায়জামা, আরেক সেটের কামিজের সঙ্গে পরেও তৈরি হতে পারে নতুন ধারার স্টাইল। তার ওপরে লম্বা কটি বা একটা স্কার্ফ জড়িয়ে নিলেই হয়ে যাবে নতুন ফ্যাশন।
যাঁরা আরামদায়ক পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাঁরা অনায়াসেই ঈদের দিন পরতে পারেন সাদা বা চাপা সাদা (অফ হোয়াইট) রঙের কামিজ।
এমন অনেক ভারী কাজের সাদা পোশাক সংগ্রহে থাকে, যেগুলো নষ্ট হওয়ার ভয়ে সচরাচর বাইরে পরে বের হন না অনেকেই। এবারের ঈদে এমনই একটি পোশাক পরে কাটিয়ে দিতে পারেন সারা বেলা।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি