যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়। তৌহিদুলের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, হত্যাকারীদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো খুনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকতে পারে না।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তারা।
তারা বলেন, খুনি হাসিনার আমলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতনের পরও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা আরও বলেন, নিহত তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার এবং তার পিতাহারা চার কন্যা সন্তানের আর্থিক ও নিরাপত্তাসহ সব সুরক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।