শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি অমরসুরিয়াকে বেছে নিয়েছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে।
প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলের নাম জনতা ভিমুক্তি পেরেুমুনার (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি)। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এবং ৩৭ জন প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় পেয়েছেন তিনি।
তবে পার্লামেন্টে তার দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। দেশটির ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে বর্তমানে জেভিপির আইনপ্রণেতা রয়েছেন মাত্র ৩ জন। হরিনি অমরসুরিয়া এই তিন এমপির একজন।
৫৪ বছর বয়সী হরিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি লিঙ্গ সমতা এবং সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ক একজন কর্মী।
জেভিপির জ্যেষ্ঠ নেতা নামাল করুণারত্নে এএফপিকে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আপাতত দলের তিন জন এমপি সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এই অবস্থায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে এবং তারপর নতুন এমপিরা শপথ নেবেন।
“শিগগিরই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। সম্ভবত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে, এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোটো মন্ত্রিসভা,” এএফপিকে বলেছেন তিনি।