নির্বাচন নিয়ে বিদেশি তৎপরতা বা চাপকে বড় ধরনের কোনো সমস্যা মনে করছে না সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিদেশিদের পক্ষ থেকে যেসব বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে সরকারও জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেসব বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, বিদেশিদের বক্তব্য হলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরক্ষেপ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও সেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরক্ষেপ নির্বাচনের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই দেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে অনুযায়ী সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। এর পরও বিদেশিদের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে সরকারের কিছু করার নেই – এমন অবস্থানই সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছে ওই দলগুলো।
এখন নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনারা ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে আগে থেকেই দৃঢ় অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও সেই অবস্থানেই এগিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার কথাও ওই দেশগুলো থেকে বলা হচ্ছে। তবে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।