পৃথিবীর শুরু থেকে বিয়ে চলে আসছে। এটি নবীদের সুন্নত। এর মাধ্যমেই বংশবিস্তার হয়। বিয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সাক্ষী। দুজন সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না।
অনেক ছেলে-মেয়ে সাক্ষী ছাড়াই গোপনে বিয়ে করেন। এখন প্রশ্ন হলো, কাউকে না জানিয়ে ছেলে-মেয়ে দুজনে মিলে সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করলে কি জায়েজ হবে?
ইসলামি শরিয়তে বিয়ের জন্য দুজন সাক্ষী শর্ত। এ ছাড়া বিয়ে জায়েজ হবে না। যে সম্পর্ক হবে তা হারাম সম্পর্ক হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা হলো ব্যভিচারী যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিয়ে করে নেয়। (তিরমিজি: ১১০৩)
ইসলামি শরিয়তে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে-
১. বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।
২. উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর সামনে।
৩. ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষীকে নিজ কানে শুনতে হবে।
আরও পড়ুন: কাবিননামা ও দেনমোহর কি এক?
ইসলামি শরিয়তে এ তিনটির কোনো একটি শর্ত না পাওয়া গেলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো শরিয়তের মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরিয়তের বিধান আরোপিত হয়) এমন দুইজন স্বাধীন পুরুষ সাক্ষী বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য নিজ কানে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)