চা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল৷ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমাগত নগরায়ন ও জনগণের শহরমুখিতার কারণে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে৷
চট্টগ্রামে ২২টি চা বাগানের মধ্যে ফটিকছড়িতে রয়েছে ১৭টি বাগান। বাকি ৫টি রয়েছে রাঙ্গুনিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায়। তবে, এখানে চা শিল্পের বিকাশ ঘটলেও কাঙ্ক্ষিত মজুরি না পাওয়ায় হতাশ শ্রমিকরা।
বেতন ভাতা, প্রথম স্কেলে ১৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে শ্রমিক নেতারা জানান, তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পেলে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, সন্তানেদের লেখাপড়ার পাশাপাশি চা উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
চলতি বছরে মার্চ-অক্টোবর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৮৮ লাখ ৩৬,২৭৬ কেজি চা। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ কেজি চা। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টিসহ নানা কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন চা বাগানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮৫ ভাগ চা ফটিকছড়ির বাগানগুলো থেকে উৎপাদন হয়। টি বোর্ড থেকে যদি আরো সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে এ চা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে করোনাকালীন সময়েও সবগুলো চা বাগানের কার্যক্রম চালু রাখা হয়। কিন্তু, নানা কারণে চট্টগ্রামের ২২টি চা বাগানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেগ পেতে হচ্ছে। তাই, চট্টগ্রামে চা শিল্পের উন্নয়নে মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যাণে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি