বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর, গাড়িদহ, কুসুম্বি ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে গেলে দেখা যাবে, একসাথে কাজ করছেন নারীরা। সংসারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়তি আয়ের আশায় তারা বেছে নিয়েছেন হাতের তৈরি এসব জিনিসপত্রের কাজ। বাঁশ-বেতের তৈরি এসব সামগ্রী বিক্রি করেই সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে তাদের।
স্থানীয়ভাবে হাতের তৈরি এসব জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে ঢাকার নামিদামি শোরুমে। সেই সাথে এসব সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে বিদেশেও। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কারিগররা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।
তবে, দিনরাত পরিশ্রম করে চাহিদার চেয়ে কম মজুরি পাওয়া, স্থানীয়ভাবে বাজারজাতের ব্যবস্থা এবং বিনাসুদে ঋণ পেলে জীবনের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন এ পেশায় কর্মরত নারীরা।
এদিকে, এসব পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রির ব্যবস্থাসহ সরকারিভাবে কর্মরতদের আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ার কথা স্বীকার করলেন, বগুড়া ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশনের উপ মহাব্যবস্থাপক।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রামে ১২ থেকে ১৫ হাজার নারী এ হস্তশিল্পের কাজ করছে। সরকারি অথবা বেসরকারি সহায়তা পেলে এ কাজে যুক্ত হয়ে আরো অনেক নারীই স্বাবলম্বী হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি