‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম, একজন মহিলাসহ পাঁচ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে এবং ১ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে “রেমিট্যান্স পুরস্কার” প্রদান করেছে। ৮ জানুয়ারি দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইতালি থেকে বাংলাদেশে জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে তাঁদেরকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইতালিতে নিযু্ক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এ পুরস্কার প্রদান করেন।
দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ।
রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যে পুরস্কার প্রাপ্তদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং সেই সাথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বর্তমান সরকারকে “প্রবাসী-বান্ধব সরকার” উল্লেখ করে ‘মুজিব বর্ষের’ স্লোগানকে (মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান) সামনে রেখে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত করোনা ভাইরাস মহামারির সময় বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনা এবং চাকুরি হারানো ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদেরকে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সাহায্য প্রদানের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং অন্যান্য সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা সভার শুরুতে দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রমকল্যাণ) মোঃ এরফানুল হক প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা, তাঁদের কল্যাণ এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। রেমিট্যান্স পুরস্কার অর্জনকারী ব্যক্তিগণও অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন এবং এ স্বীকৃতির জন্য দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
২০২০ সালের “রেমিট্যান্স পুরস্কার” প্রাপ্তরা হলেন: ব্যক্তি ক্যাটাগরি কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ সফিউল্লাহ, কামরুল হাসান এবং মেহেনাস তাব্বাসুম। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলা এসআরএল (Bangla SRL)।