বেসরকারি পর্যায়ে আরো ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সক্ষমতা ভেদে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শর্ত মানলে আমদানিতে শুল্ক সুবিধা পাবেন বেসরকারি আমদানিকারকরা।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকগণকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।
ইতোপূবে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য গত ৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ১২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, ৬ জানুয়ারি,২০২১ তারিখে ৪৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এবং আজ ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরো ১ লাখ ৭১ হাজার ৫শত মেট্রিক টন সর্বমোট ১৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে। এখন শুল্ক সুবিধায় আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
বরাদ্দ পত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়। ৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০-১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে মর্মে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।