বছর দশেক আগে শখের বশেই মৌ চাষ শুরু করেছিলেন মোশাররফ হোসেন। কারিগরি প্রশিক্ষণ না থাকলেও বইপত্র ঘেঁটে মৌ চাষ ও খাঁটি মধু সংগ্রহের কলা-কৌশল জেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন পরে লাভের মুখ দেখতে পেয়ে পুরোদমে আত্মনিয়োগ করেন বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষে। এদিকে, উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা ক্ষেতের মৌচাষিদের দেয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় ধামনা, উরফা, চরমধুয়া, চরবাছুর আগলা ব্রক্ষ্মপুত্র নদের চরে হলুদের সমারোহ। এসব মাঠজুড়ে আবাদ করা হয়েছে সরিষা। এই সরিষা ফুল মধু উৎপাদনের প্রধান উৎস।
তাই অনেকটা শখের বশেই সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ শুরু করেন মোশাররফ হোসেন। আর এতে সফলও হন তিনি। বর্তমানে বছরে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
মোশাররফ হোসেনের পাশাপাশি এসব গ্রামের অনেকেই এখন ঝুঁকেছেন মৌ চাষে। সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে স্থাপনকৃত এসব বাক্স থেকে সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে চাষিরা জানান, সরকারিভাবে যদি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এ বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে।
এদিকে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ফলন বাড়ে। তাই সরিষা ক্ষেতগুলো মৌ-চাষের আওতায় আনতে চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চলতি বছরে নকলা উপজেলায়, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ মধু সংগ্রহের লক্ষ্য সংশ্লিষ্টদের। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মধু ৩-৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সংগৃহীত এসব মধু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও সরবরাহ করা হয়।