পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া উলুখড়; আর তা দিয়েই ঝাড়ু তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে কুমারখালীর এলঙ্গী গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। তবে, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে হুমকির মুখে রয়েছেন এ কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এলঙ্গী গ্রামের মামুন হোসেন। বছর পাঁচেক আগেও অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটত তার। ভাগ্যের পরিবর্তনের আশায় কয়েক বছর আগে পদ্মাচরের উলুখড় দিয়ে শুরু করেন ঝাড়ু তৈরির কাজ। বর্তমানে নিজের অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামের অনেকের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
শুধু মামুনই নয় এ গ্রামের আরও অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এ ঝাড়ু তৈরি করে।
পরিবারের বড়দের সাথে ছোটরাও পড়াশোনার পাশাপাশি এ কাজে সহযোগিতা করে থাকে। মজুরি বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ এখন চোখে পরার মত। গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে ফাঁকে তারাও ব্যস্ত সময় পার করেন ঝাড়ু তৈরির কাজে।
এদিকে, এ কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন কুষ্টিয়া বিসিকের এ কর্মকর্তা।
সারাদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও ঝাড়ু তৈরির মূল কাঁচামাল উলুখড়ের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহনসহ নানা সমস্যার কারণে সংকটে পড়েছে এ শিল্পের অগ্রযাত্রা। তাই দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।