বলিউডের ভাইজান সালমান খান শৈশব স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন স্কুলজীবনের এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা আজও অনেকের অজানা।
শোনা যায়, শৈশব থেকেই সালমান খান ছিলেন চঞ্চল ও দুষ্টু স্বভাবের। এক সময় তার বিরুদ্ধে সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে এবং এর ফলেই স্কুল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে সালমানের দাবি—বিষয়টি আসলে ছিল একেবারেই ভুল বোঝাবুঝি।
সম্প্রতি কাজল ও টুইঙ্কেল খান্নার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালমান ও তার দীর্ঘদিনের বন্ধু আমির খান। তারা দুজনই একই স্কুলে পড়ালেখা করেছিলেন, যদিও তখন একে অপরকে চিনতেন না। সালমান মনে করিয়ে দেন, আমি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে পড়েছি। এরপর আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সালমান বলেন, এক সহপাঠীর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ছেলেটি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, এতে তার দাঁত ভেঙে যায়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ভেবেছিলেন সালমান ইচ্ছাকৃতভাবে মেরেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও ভুল বোঝাবুঝির জেরেই তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। সালমানের মতে, বহিষ্কারের পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল- স্কুলের ফি বকেয়া থাকা।
তিনি জানান, আমাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাবাকে স্কুলে ডাকা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমার কোনো দোষ নেই, আসল দোষ বাবার। তিনি নিয়মিত স্কুলের খরচ পরিশোধ করতেন না।
এই শুনে তার বাবা, চিত্রনাট্যকার সেলিম খান, দৃঢ়ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, তাহলে ছেলেকে শাস্তি দিচ্ছেন কেন? আমাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখুন। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি স্কুলের দেনা শোধ করেন এবং সালমানকে সেখান থেকে তুলে আনেন।