শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে প্রথমবারের মতো তরমুজের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন আব্দুল বাতেন। তার নিজস্ব এক একর জমিতে মাল্টা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে ড্রাগন প্রজাতির তরমুজের চারা রোপণ করেন তিনি।
গারো পাহাড়ের মাটি সাধারণত বেলে-দোঁয়াশ প্রকৃতির। এই মাটিতে সেক্স ফেরোম্যান ফাঁদ ব্যবহার করে কিটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিম্যেধ্যে তার তরমুজ ক্ষেতে কাজ করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী।
কৃষক বাতেন জানান, ফলন ভালো হওয়ায় এবার এ বিষমুক্ত তরমুজ বিক্রি করে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ের মাটিতে মাল্টা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ আসলেই নতুন অভিজ্ঞতা। এটি কাজে লাগালে এই অঞ্চলের কৃষকরা একই জমিতে দুই ধরণের ফসল চাষ করে লাভবান হবেন।
শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে তরমুজ চাষ পাহাড়ি মানুষের জীবনজীবিকা এবং জেলার অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।