ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে, ১ লাখ ১০ হাজার ৮৯৬ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে, হাওরাঞ্চলে পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে যা চলবে আরও দু’মাস।
কৃষকরা জানান, বিরূপ আবহাওয়ায় কিছুটা ব্যাহত হলেও এবার বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কানি প্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। এতে ধান পাওয়া যাবে ১৫ থেকে ২০ মণ। তবে, করোনকালীন শ্রমিক সংকট থাকায় ধান কাটা নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এদিকে, করোনাকালীন ধান কাটার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে ৫৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ১৩টি রিপার বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি কৃষি শ্রমিক প্রস্তুত রাখার কথা জানালেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদরা।
কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, জেলায় এবার ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে, যা থেকে প্রক্রিয়া শেষে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন তারা।