কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার। এখানে সরু মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা কেজি দরে। বোরো ধানের এ ভরা মৌসুমেও চালের এমন দাম অপ্রত্যাশিত হওয়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মূল দুশ্চিন্তা এখন এই চাল কেনা নিয়ে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান-চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে এরইমধ্যে নতুন ধানে চালু হয়েছে চার শতাধিক চালকল। মিল মালিকরা বলেছেন, মৌসুমের শুরুতেই সরু ধান কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। গত বছর যে ধান হাজার টাকার নিচে কিনেছেন এবার তা এক হাজার ১৫০ টাকার ওপরে। এ কারণে মিলগেটে এখন চাল বিক্রি করতে হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।
তবে, মিল মালিকদের কেউ কেউ বলছেন, এ পরিস্থিতির মধ্যেও সরকারি মনিটরিং থাকলে চালের দর কমানো সম্ভব। জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বললেন একই কথা।
এদিকে, ছোট ও মাঝারি মিল মালিকরা বলছেন, কয়েকজন বৃহৎ মিল মালিকের সিন্ডিকেট ধান-চাল দুটোরই দর নিয়ন্ত্রণ করে। দাম বেড়ে গেলে তখন নিয়ন্ত্রণ নিতে আসে প্রশাসন।
শুধু সংকটের সময় নয়, সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে যদি মনিটরিং করা যায় তাহলে এই খাজানগরের সব মিলগুলোতে চালের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।