কিশোরগঞ্জে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযুক্ত মো: দিদার (২২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টার দিকে পৌর শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া যুবক দিদার ওই এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠে দিদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুপুর ১২টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগী ওই শিশু স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কেজি শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। অভিযুক্ত যুবক দিদারের নামে মামলা থাকায় তার পিতার অপর একটি বাসা ভুক্তভোগী শিশু’র বাসার পাশে হওয়ায় সেখানে একা আত্মগোপনে থাকেন। এই সুযোগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শিশুটি খেলা করার সময় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে খালি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। এসময় পরিবারের লোকজনকে না বলার জন্য শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাসায় এসে প্রচণ্ড ব্যাথায় কাতরাতে থাকে শিশু। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটির মা লক্ষ্য করলে শরীরে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরক্ষনই প্রচন্ড রক্তক্ষরণ দেখে শিশুর সাথে কথা বলে ধর্ষনের বিষয় জানতে পারেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুপুর ১২ টায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে মামলা রেকর্ড ভুক্ত করি। এরপর অভিযুক্তকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে তাকে আমরা ধরতে সক্ষম হয়। এর আগে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার রাতে অভিযুক্ত দিদারের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সে পালিয়ে যায়।