বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালে মে পর্যন্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৪ মে.টন পণ্য দেশের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৬টি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ১৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু এবং খেজুর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার, আমদানি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে টিম কমার্সের উদ্যোগ, প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে বর্তমান কোভিড-১৯ সময়কালীন লকডাউন পরিস্থিতি এবং বিগত দুইটি রমজানে বাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি এ সকল পণ্যের বাজারে মোটামুটি স্থিতিশীলতা বিরাজ করেছে।
শুধু ভোজ্যতেলের বাজারদর এ সময় বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পায়। ভোজ্যতেল একটি আমদানি নির্ভর পণ্য, সেহেতু ভোজ্যতেলের বাজার দর মূলত নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজার দরের উঠানামার ওপর। ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৯৫ ভাগেরও বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তাই সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমাণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, স্থানীয় বাজারে সেই পরিমাণে মূল্য বৃদ্ধি পায়নি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারদর যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, স্থানীয় বাজারদর সেই তুলনায় অনেক কম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।