ভিটা জমি বা অনাবাদি জমি যেখানে আগে তেমন কোনো ফসলই হতো না সেই সব জমিতে পটল চাষ করে সফল রাজবাড়ীর চাষিরা। রোগবালাই সামান্য কিছু থাকলেও সামান্য পরিচর্যাতেই মিলছে সমাধান। আবার বাজারে চাহিদা থাকায় বিক্রিও হয় ভালো দামে। সব মিলিয়ে রাজবাড়ী জেলাতে প্রতি বছরই বাড়ছে পটলের আবাদ।
জেলার অনেক কৃষকই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে শ্রম দিচ্ছেন। কৃষকরা বলছেন, প্রথম বছর বিঘা প্রতি পটলের বীজ রোপন ও সার দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এবং এক বিঘা জমি থেকে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাদের। তবে, বীজ নিজের থাকলে খরচ তখন কিছুটা কমে যায়। কিন্তু, বীজ রোপনের পর থেকে ফলন আসা পর্যন্ত কোনো সমস্যায় পড়লে মেলে না কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ।
কিন্তু, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মোফাকখারুল ইসলাম জানালেন, জেলায় ১২৯টি ব্লক থেকে কৃষি অফিসাররা সরাসরি আধুনিক পদ্ধতিতে পটল উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী জেলায় এ বছর প্রায় ৪শ’ ৮৭ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ করা হয়েছে।