কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল করিম। নিজের জমি না থাকলেও প্রতিবছরই অন্যের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেন তিনি। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ধার-দেনা করে জমিতে ভারতীয় বীজের কেনাফ জাতের পাট চাষ করেছেন তিনি।
ভালো ফলন ও লাভের আশা থাকলেও হঠাৎ করেই তার জমিতে অজানা এক ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। এই ভাইরাসের প্রভাবে গাছের পাতা মোড়ানো ও পরে হলুদ হয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। এ অবস্থা অন্যদের জমিতেও। মাঠের পর মাঠ এভাবে ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা জেলার হাজারো কৃষক। তারা বলছেন, তাদের এমন পরিস্থিতিতেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা।
এ বিষয়ে জেলা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, নিম্নমানের বীজ ব্যবহার করায় কৃষকের আবাদ করা পাটের জমিতে অজানা এই ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। ইতিমধ্যে, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট অজানা এই ভাইরাসের কারণ সর্ম্পকে গবেষণা শুরু করেছে।
জেলায় এ বছর ১৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে ভারতীয় কেনাফ জাতের পাট।