ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে ২০ জন নারী ও ২ জন শিশু রয়েছে। ২৬ জুলাই সোমবার জাতিসংঘের এক অভিবাসন কর্মকর্তা একথা জানান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মুখপাত্র সাফা মাসেলি জানিয়েছেন, ৭৫ আরোহী নিয়ে রবিবার উপকূলীয় খুমস শহর থেকে নৌকাটি রওনা দেয়। সোমবার ১৮ জনকে উদ্ধার করে উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নৌকার বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, তারা নাইজেরিয়া, ঘানা ও গাম্বিয়া থেকে এসেছিলেন। তারা বলেন, ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে হঠাৎ করেই নৌকাটি বন্ধ হয়ে যায় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় সাফা মাসেলি বলেন, ‘নৌকাডুবির পর ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করে সাগরে থাকা জেলে ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
আইওএম এর তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে এক হাজার ১৪৬ জন মারা গেছেন। অনেক জাহাজ ভেঙে ডুবে যাওয়ায় এবং শনাক্ত করতে না পারায় ইউরোপগামী ভূমধ্যসাগরের পথে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
ইউরোপে উন্নত জীবনের সন্ধানে যেতে চাওয়া অভিবাসী ও শরণার্থী বোঝাই নৌকা ডুবির সর্বশেষ ঘটনা এটি। গত সপ্তাহে লিবীয় উপকূলে ভূমধ্যসাগরে আরেকটি নৌকা ডুবিতে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া পাঁচশ’ জনকে আটক করে লিবিয়ায় ফেরত নেওয়া হয়।