কক্সবাজারে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ করা ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের) অনুরোধের প্রেক্ষিতে বনভূমির এ বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য বন বিভাগের আপত্তি উপেক্ষা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে এর বিরুদ্ধে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হয়। আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে গত ২৯ আগস্ট একটা চিঠি দিয়েছিলাম, যে এটা বাতিল করে দেওয়া হোক।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ অনেক কম। জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী হুমকির মুখোমুখি। আশপাশের দেশে এমনকি আমাদের দেশেও সংসদ ভবন, বিমানবন্দরও ৭০০ একর জমির ওপরে না। তাহলে প্রশাসন ক্যাডারের একটা একাডেমির জন্য আমাদের ৭০০ একর জমি কেন লাগবে এবং যেখানে ভালো বন এবং বন্যপ্রাণীও রয়েছে। সেটার প্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। তার মানে হলো বন বিভাগ থেকে চলে যাওয়া জমি আমরা ফেরত আনতে সক্ষম হলাম। ২০২১ সালে এ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে, রোববার (১০ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বন্দোবস্তকৃত কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার বিএস ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত বিএস ২৫০০১ নম্বর দাগের ‘পাহাড়’ শ্রেণির ৪০০ একর ও বিএস ২৫০১০ নম্বর দাগের ‘ছড়া’ শ্রেণির ৩০০ একর মোট ৭০০ একর জমি রক্ষিত বনের গেজেটভুক্ত।
১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।