যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে শনিবার দক্ষিণ ক্যারোলাইনার উপকূলে চীনা গোয়েন্দা বেলুনটি ধ্বংস করেছে। পেন্টাগণ এ খবর জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, চীনা এ বেলুন তাদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল। যুক্তরাষ্ট্র একে চীনের ‘অগ্রহণযোগ্য লংঘন’ বলে বর্ণনা করেছে।
চীনের বেলুনটি কয়েক দিন আগে আকাশে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নজরে আসে। এরপর থেকেই সেটি ধ্বংস করতে চাপে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশেষে এফ-২২ যুদ্ধবিমান দিয়ে সেটি ধ্বংস করা হলো। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার ৪৭ ফুট গভীরে পড়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ অভিযানকে ‘ইচ্ছাকৃত ও আইনানুগ’ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর চীনের ‘অগ্রহণযোগ্য লংঘন’ই এ পদক্ষেপের কারন।
সফলভাবে বেলুন ধ্বংসের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিমানের পাইলটদের অভিনন্দন জানান।
মেরিল্যান্ডে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তারা সফলভাবে এটি ধ্বংস করতে পেরেছে। যারা এ কাজটি করেছে আমি তাদের প্রশংসা করতে চাই।
বেলুনটি ধ্বংসের অভিযান চালানোর সময় উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে উপকূলের কাছে তিনটি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশে ছোট একটি বিস্ফোরণের পর একটি বেলুন নিচের দিকে পড়ছে।
গত ২৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা দেয়া এই বেলুনকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এ ঘটনার জেরে চীন সফর বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।