জাতিসংঘর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোববার বলেছেন, সুদানে যুদ্ধের দ্রুত উদ্ভাসিত প্রভাব এবং এর ব্যাপক ফলাফলের কারণে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা সেখানে যাচ্ছেন।
প্রতিদ্বন্ধী সুদানী বাহিনী একটি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই এই ঘোষণাটি এসেছে যে, তারা ব্যাপকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু যুদ্ধবিমানগুলো মাথার উপর গর্জন করছে এবং সুদানের রাজধানীতে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘সুদানে যা উদ্ঘাটিত হচ্ছে তার মাত্রা এবং গতি নজিরবিহীন। আমরা সুদানের সমস্ত মানুষ এবং বৃহত্তর অঞ্চলের উপর তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’ গুতেরেসের মূখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, সুদানে দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকটের আলোকে জাতিসংঘ প্রধান তার মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকতা মার্টিন গ্রিফিথসকে ‘অবিলম্বে’ এলাকায় পাঠাচ্ছেন।
খার্তুম এবং দেশের অন্যান্য অংশে সেনাবাহিনী এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ তৃতীয় সপ্তাহে গড়ালো।
সর্বশেষ ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রতিদ¦ন্ধী বাহিনী ৭২ ঘন্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করার ঘোষণা করার আগে যা সুদানের সেনাবাহিনী বলেছিল যে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি মধ্যস্থতার’ কারণে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছিল।
১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫শ’রও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজার লোককে দেশ বা বিদেশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
যুদ্ধটি সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাহিনীকে তার প্রাক্তন ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বিরুদ্ধে। যিনি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর নেতৃত্ব দেন।