দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।
এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘পুরোনো বন্ধুর’ রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে। পুতিনের এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানোর কয়েকদিন আগে বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। এসময় চীন ও রাশিয়া ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার এই অভিযান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে মারাত্মক স্থল যুদ্ধের সূত্রপাত করে।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার নতুন বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
নতুন মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য চীনকে বাছাই করেছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকে তার অগ্রাধিকার এবং শি জিনপিংয়ের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী সে বার্তাই যেন দিচ্ছে। সফরকালে পুতিন আজ শি জিনপিংয়ের সাথে সামনাসামনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন তারা।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবারের সফরে পুতিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিল্প ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করবেন।