ভারতের তেলেঙ্গনা রাজ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন কংগ্রেসের রেবন্ত রেড্ডি। এবার তার সঙ্গে তারই বাড়িতে দেখা করতে চান ক্ষমতাসীন বিজেপির জোটসঙ্গী টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কয়েকদিন আগেই শপথ নিয়েছেন তিনি। রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাকে একটা চিঠিও পাঠিয়েছেন নাইডু। মঙ্গলবার (২ জুলাই) চিঠিটি প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রেবন্ত রেড্ডিকে লেখা চিঠিতে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে দুই খণ্ডে ভাগ হওয়ার ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। পুনর্গঠন আইনের অধীনে একাধিক বিষয় নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে বহুবার আলোচনাও হয়েছে,যা দুই রাজ্যেরই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আমাদের এই বিষয় নিয়ে আলোচনা অপরিহার্য। সেজন্যই আগামী ৬ জুলাই,শনিবার দুপুরে আপনার বাড়িতে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস,মুখোমুখি আলোচনা আমাদের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আরও ভালোভাবে আলোচনা করতে এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত নিতে কার্যকর হবে।
টিডিপি নেতার এই আমন্ত্রণের খবর পেতেই চিন্তা পড়ে গেছে বিজেপি। সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যেই জোটের সমীকরণ বদলে যাবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
মূলত বর্তমানে রেবন্ত রেড্ডি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হলেও,চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে তার সম্পর্ক বহু পুরোনো। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে তেলুগু দেশম পার্টিরই সদস্য ছিলেন রেবন্ত রেড্ডি। চন্দ্রবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন।
২০১৫ সালে নোট ফর ভোট দুর্নীতিতে রেড্ডি যখন জেলে গিয়েছিলেন, তখন তাকে চন্দ্রবাবু নাইডুর পাঠানো লোক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। টিডিপির হয়ে ভোট চেয়ে এক সদস্যকে ৫০ লাখ রুপি ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন রেড্ডি।
অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানা রাজ্য বিভাজনের পর, এত বছর হায়দ্রাবাদকেই যুগ্ম রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করা হতো। চলতি বছর সেই চুক্তির শেষ হয়েছে। অমরাবতীর নাম প্রস্তাবিত হলেও, এখনও সেটাকে অন্ধ্রপ্রদেশের আনুষ্ঠানিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। অমরাবতী প্রজেক্টও গত ৫ বছর ধরে আটকে রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর চন্দ্রবাবু প্রতিবেশী রাজ্য তেলঙ্গানার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করতেই এই সাক্ষাৎ করছেন কিনা, সেটা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক মহলে।