জান্তা বাহিনী এখন মিয়ানমার রাষ্ট্রকে ধ্বংসের চেষ্টা শুরু করেছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারের হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি সতর্কবার্তা দেন।

টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারের জান্তা এখন ব্যাপক চাপে রয়েছে। তারা জনবল, সামরিক সরঞ্জাম এমনকি ভূখণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণও হারাচ্ছে; কিন্তু তারপরও নমনীয় হচ্ছে না। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া তো দূরের কথা, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আপস করতেও তারা আগ্রহী না।’

তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা প্রতিহত করতে পারছে না জান্তা সরকার। গত প্রায় ১০ মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জান্তা বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এসব হামলার জবাবে জান্তা বাহিনী পাল্টা যেসব হামলা চালাচ্ছে, তাতে মূলত বেসামরিক লোকজন মারা যাচ্ছে।’

এ সময় সতর্ক করে অ্যান্ড্রুজ বলেন, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মিয়ানমার নামে কোনো একক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আর থাকবে না। এ ব্যাপারটি জান্তাও বুঝতে পারছে; কিন্তু তারপরও তারা শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাদের এই ভূমিকা মিয়ানমারের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে।’

দুর্গত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামপুরের চিনাডুলী, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, বেলগাছা, সাপধরী ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন ও পৌরসভার উঁচু এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও ফের কিছু কিছু জায়গায় আবার পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ লাখ ৫০ হাজার ২২৮ জন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার, ফসলি জমি, মৎস্য খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।