বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে মার্কিন সরকারের দিকে অভিযোগের তির তোলার বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, এই ধরনের অভিযোগ হাস্যকর। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের আয়োজন করেছে। যার ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার (বেদান্ত প্যাটেল) কী কোনো মন্তব্য আছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল, এমন ধারণা ডাহা মিথ্যা। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখেছি। ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা জোরদার করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে জানান, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার খবর সঠিক নয়। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছেতেই এ পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ক্যারিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে জনগণই তাদের সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। এ ধরনের যেকোনো দাবি গুজব ও মিথ্যা। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তেই এটি হয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই দেশটির সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
তারও আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।