যারা গত ১০ বছরে আবাসন সংক্রান্ত কোন ধরনের আইন অমান্য করেননি তারা ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দা, প্রবাসী এবং আমিরাতের স্পনসরশিপ আছে এমন সবাই এই বিশেষ সুবিধার আওতায় পড়বেন। দুবাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্স (জিডিআরএফএ) মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এমন ঘোষণা দিয়েছে।
‘আইডিয়াল ফেস’ নামে এই উদ্যোগটি ওই সব নাগরিকদের স্বীকৃতি দেয় যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবাসন সংক্রান্ত আইন মেনে চলেন। জিডিআরএফএ ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, ‘তারা আবাসিক নীতিমালা মেনে চলার পাশাপাশি এমন সংহতির জন্য দুবাইয়ের ‘আদর্শ মুখ’ বলে পরিচিতি পাবেন বিশেষ সুবিধা হিসেবে যা যা পাবেন তা নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের।
২৪ ঘণ্টাব্যাপী রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা ‘আমের কল সেন্টারে’ যোগাযোগ করলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিনামূল্যে পরিষেবা পাবেন। ‘আদর্শ মুখ’ হিসেবে প্রশংসাপত্র পাবেন। মোবাইল সার্ভিস গাড়ির মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকদের তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার মতো সেবা পাবেন।
বিশেষাধিকারগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। তবে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। যেসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক বা বিদেশি বাসিন্দা হতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য দুবাইতে থাকতে হবে।
এক বা একাধিক ব্যক্তির স্পনসর হতে হবে যারা গত ১০ বছরে কোনো আবাসিক নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি। চলতি বছর স্পনসরের রেসিডেন্সি আইন সংক্রান্ত আইনভঙ্গের কোনো রেকর্ড থাকতে পারবে না।
সংস্থাটি জোরালো ভাবে জানিয়েছে, এই উদ্যোগটি ‘সব সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আমিরাতের রেসিডেন্সি আইন মেনে চলার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। এটি সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
জিডিআরএফএ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ আল মারি বলেন, ‘সুখী এবং টেকসই সমাজ বিনির্মাণ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের লক্ষ্য অর্জনে নিরাপত্তা ও শান্তি মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ‘আইডিয়াল ফেস’ উদ্যোগ সেই ব্যক্তিদের প্রশংসিত করে যারা আইন মেনে চলে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এটি সবাইকে ইতিবাচক আচরণ করতে এবং স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা অর্জনে অবদান রাখতে উৎসাহিত করে।’
সব নাগরিক, বাসিন্দা এবং ভ্রমণকারী পর্যটকদের আবাসন সংক্রান্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমন উদ্যোগে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে জিডিআরএফএ।