ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতেই দীর্ঘদিন পর এই হামলা চালালো তেল আবিব। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইরানের কর্তৃপক্ষ।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে বেশ কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ সময় চালু করা হয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে, এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।
যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ টুয়েলভ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
সম্প্রতি ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। প্রায় দুইশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এর জবাব দিতে মরিয়া ছিল ইসরায়েল।