গাজায় হামাসের শাসন যাতে আর কখনো ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এই কথা বলেন। একই সঙ্গে গাজায় হামাসের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে মিসরের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক গাজা থেকে মিসর ও জর্ডানকে আরও বেশি ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার প্রস্তাব দেয়ার পরই মার্কিন ও মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
গত শনিবার গাজা ‘খালি’ করার একটি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যে সেখানে ইসরায়েলের ১৫ মাসের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের দেশ থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত হওয়ার ভয়কে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মঙ্গলবার রুবিও ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির মধ্যে হওয়া কথোপকথনের পর যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে তাতে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের কোনো উল্লেখ নেই।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর জর্ডান ও মিসর ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে তাদের দেশে নেয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মঙ্গলবারের ফোনালাপ পর বলেছে, তিনি (রুবিও) হামাসকে জবাবদিহির আওতায় আনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সংঘাত পরবর্তী পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়ার জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার গুরুত্ব তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যাতে হামাস কখনো গাজা শাসন করতে বা ইসরায়েলকে আবার হুমকি দিতে না পারে।
এর আগের দিন জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রুবিও। সেই ফোনালাপের পর দেয়া মার্কিন বিবৃতিতেও ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের কোনো উল্লেখ করা হয়নি।