সংবাদ সংস্থা এএনআই দূতাবাসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই দুজন কর্মকর্তাকে আজ সকাল আটটার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তথা মুখপাত্র অখিলেশ সিং এএনআই-কে জানিয়েছেন, ওই দুজন কর্মকর্তা তখন ‘অফিশিয়াল ডিউটি’তে ছিলেন।
কিন্তু স্থানীয় সময় সকাল আটটার পর থেকে তাদের মোবাইলেও আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, তাদের কোনও খবরও পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারত ইতোমধ্যেই পাকিস্তান সরকারের কাছে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত মাসের শেষ দিকে দিল্লির পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা সেকশনে কর্মরত দুজন অফিসারকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করেছিল ভারত।
আবিদ হুসেইন ও মহম্মদ তাহির নামে ওই দুজন কর্মকর্তাকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অতীতে দেখা গেছে, যখনই ভারত বা পাকিস্তান একে অন্যের দূতাবাসের কোনও কর্মী বা কর্মকর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বহিষ্কার করেছে – প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অন্য দেশও সমসংখ্যক কর্মী বা কর্মকর্তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
তবে আবিদ হুসেইন ও মহম্মদ তাহির পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পর প্রায় দুসপ্তাহ কেটে গলেও পাকিস্তানের দিক থেকে এখনও কোনও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কিন্ত এর মধ্যেই আজ (সোমবার) এই দুজন ভারতীয় কর্মকর্তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটল।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের ভারতীয় মিশনগুলোতে কর্মরত অফিসার ও কর্মীদের ওপর গোপন নজরদারি চালানোর ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে বলে ভারত অভিযোগ করছে।
ইসলামাবাদ দূতাবাসে ভারতের শার্জ দ্য-ফেয়ার গৌরব আহলুওয়ালিয়ার গাড়িকেও দিনকয়েক আগেই একজন মোটরবাইক আরোহী অনুসরণ করছিল বলেও ভারতের নোটে বলা হয়েছে।
শুধু মার্চ মাসেই ভারতীয় কর্মকর্তাদের পিছু নেওয়ার বা তাদের ওপর নজরদারি চালানোর ১৩টি ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতের অভিযোগ। সূত্র: বিবিসি বাংলা