ভারত চিন সীমান্তে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংঘাত নয়, আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের উত্তাপ কমাক দুই দেশ। এই ভাষাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করল ব্রিটেন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার জানান, পূর্ব লাদাখে খুব জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। তাকে আলোচনার মাধ্যমেই মেটানো উচিত। গোটা ঘটনাপ্রবাহের ওপর কড়া নজর রাখছে ব্রিটেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
ভারত চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ফ্লিক ড্রুমন্ড। তারই উত্তরে একথা জানান বরিস জনসন। ভারত ও চিনকে ব্রিটেনের পরামর্শ আলোচনা চলুক। আলোচনার টেবিলেই সমাধানের পথ খুঁজুক দুই দেশ। সীমান্ত সমস্যা সংঘাত বা সংঘর্ষের মাধ্যমে মেটানো স্বাস্থ্যকর নয় কোনও দেশের পক্ষেই।
বুধবার এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে আগেই চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ফোনে কথা হয়েছে। দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে রাজি হয়েছে। ৬ জুন আর্মি অফিসারদের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই অনুযায়ী, তাঁরা সমঝোতায় আসতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, সীমান্তের উত্তাপ মেটাতে ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স (ডব্লুএমসিসি) প্রজেক্টের আওতায় এই আলোচনা শুরু হতে চলেছে। ২০১২ সালে এই প্রকল্পতে অঙ্গীকার করে দুই দেশ।
ডব্লুএমসিসি তৈরি হয়েছিল দুদেশের সম্পর্কের মধ্যে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য। যাতে কোনও সংকট তৈরি হলে, দ্রুত কথা বলা বা আলোচনার বাতাবরণ তৈরি করা যায়।
২৩শে জুন ১২ ঘন্টা ধরে চলে গুরুত্বপূর্ণ সেনা বৈঠক। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন জানায়, বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমত্যে আসা যাচ্ছে না। এই বৈঠকে চিনের কাছে কয়েকটি দাবি রাখে ভারত। নয়াদিল্লি চাইছে ৪ঠা মের আগে গালওয়ান ভ্যালিতে দুই দেশের সেনার যে অবস্থান ছিল, তা ফের ফিরে আসুক।
এদিকে, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা কমেনি এতটুকুও। দফায় দফায় বৈঠক চলছে। বুধবারই ছিল কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক। এদিকে সীমান্তে অস্ত্র ও সেনা দুই সাজিয়ে রাখছে ভারত।
অন্তত ৪০ কোম্পানি আইটিবিপি জওয়ান নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সীমান্তে। এছাড়া T90 ভীষ্ম ট্যাংক মোতায়েন করছে ভারত। এই ট্যাংকের শক্তি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে এই ট্যাংক ভারতীয় সেনাকে শক্তি জোগাবে নিঃসন্দেহে। সূত্র: কলকাতা ২৪