ভারত এবং চীনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব কিছু করতে রাজি ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ট্রাম্প বলেছেন, ভারত অ্যামেরিকার বন্ধু। আর চীনের মানুষকে অ্যামেরিকা পছন্দ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অ্যামেরিকা সব কিছু করতে প্রস্তুত।
লাদাখে ভারত-চীন সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ট্রাম্প মধ্যস্থতার কথা বলেছিলেন। যদিও দুই দেশই তখন তা নাকচ করে দেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সহ একাধিক উচ্চপদস্থ সচিব সে সময় ভারতের পক্ষেও কথা বলেছিলেন। গত কয়েক দিন তাঁরা লাগাতার চীনের বিরুদ্ধে কথা বলে গিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নতুন করে ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ট্রাম্প যে কথা বলেছেন তাতে ভোটের রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, আর কয়েকমাস বাদেই অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। করোনাকালে ডনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো কমেছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় এবং চীনাদের ভোট ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অ্যামেরিকায় ভোটাধিকারপ্রাপ্ত ভারতীয়ের সংখ্যা ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। এই মুহূর্তে অ্যামেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। চীনা ভোটাদাতার সংখ্যাও ৩০ লাখের কাছাকাছি। এই দু’টি গোষ্ঠীর ভোট পকেটে রাখতে পারলে ট্রাম্প অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারবেন। সে কারণেই বিশাল আয়োজন করে ভারত সফরে এসেছিলেন ট্রাম্প। সূত্র: ডয়েচে ভেলে