সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, এক মিনিট নীরবতা পালন, বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা। দিবসের শুরুতে সকালে হাইকমিশনার দূতাবাসের সকল সদস্যদের নিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। পরবর্তীতে বিকালে দিবসের দ্বিতীয় কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিগণ যোগদান করেন। উল্লেখ্য যে, কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে স্বাগতিক দেশের আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইকমিশনে এই দিবস উদ্যাপিত হয়।
প্রথমেই উপস্থিত সকলকে নিয়ে হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনার মিজানুর রহমান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে শোকাবহ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। হাইকমিশনার বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির শুভ মুহুর্তে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পলাতক হত্যাকারীদের বিচারের কাজ সম্পূর্ণ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধন এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের স্বপক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে হাইকমিশনার উপস্থিত সকলকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর কর্নারে বঙ্গবন্ধুর উপর পুস্তক, ডকুমেন্টরিসহ বিভিন্ন উপকরণ থাকবে যা সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানের শেষে ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত করোনা থেকে মুক্তি কামনা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি