মাইক্রোসফট নয়, টিকটকের মার্কিন অপারেশনের দায়িত্ব পেল ওরাকল। তবে শেষ পর্যন্ত ওরাকেলের সঙ্গে টিকটক প্রস্তুতকারী চীনা সংস্থা বাইটডান্সের এই চুক্তি চূড়ান্ত হবে কি না, তা স্থির করবে দুই দেশের সরকার।
মাসখানেক আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, বেশ কিছু চীনা অ্যাপ দেশের ডেটা চুরি করছে। ওই চীনা অ্যাপগুলির জন্য আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টিকটকের মতো অ্যাপ দেশে নিষিদ্ধ করা হবে। তবে মার্কিন কোনো কোম্পানি যদি তা কিনে নেয়, তাহলে নিষিদ্ধ নাও করা হতে পারে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই টিকটকের মার্কিন অপারেশনের দায়িত্ব কেনার প্রস্তুতি শুরু করে মাইক্রোসফট। টেক দুনিয়ার অনুমান ছিল সেপ্টেম্বরের নিলামে মাইক্রোসফট কিনেও ফেলবে টিকটক। রোববারের সেই নিলামে মাইক্রোসফট অংশও নিয়েছিল। কিন্তু রোববার রাতে মাইক্রোসফটের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের নিলাম বাতিল হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায় আর এক মার্কিন টেক জায়েন্ট ওরাকল একটি কনসোরটিয়াম বা অনেকগুলি সংস্থাকে নিয়ে তৈরি একটি মঞ্চ তৈরি করে টিকটকের মার্কিন শেয়ার বাইটডান্সের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে।
ওরাকলের সঙ্গে বাইটডান্সের যে চুক্তি হয়েছে, তা ঠিক বিক্রি বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, অ্যামেরিকায় টিকটক চালানো এবং তার ডেটার দায়িত্ব নিয়েছে ওরাকল। সেখানে বাইটডান্স হস্তক্ষেপ করবে না, এমনই রয়েছে চুক্তিতে।
তবে ওরাকলের সঙ্গে বাইটডান্সের এই চুক্তি ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মার্কিন এবং চীনের প্রশাসন সবুজসংকেত দিলে তবেই চুক্তি চূড়ান্ত হবে। এই মুহূর্তে অ্যামেরিকা এবং চীনের সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে দুই দেশের প্রধান এই চুক্তিকে ছাড়পত্র নাও দিতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন টিকটকের দায়িত্ব মাইক্রোসফট নিক। যে ভাবে কনসোর্টয়াম তৈরি করে ওরাকেল এর দায়িত্ব নিয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট জটিলতা তৈরি হতে পারে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে