নাগোর্নো-কারাবাখকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করলেও মূলত অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন। আর তাতে সমর্থনও রয়েছে আর্মেনিয়ার। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও স্বীকৃতি পায়নি।
অঞ্চলটি নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি পর রোববার দুই দেশের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। টানা চারদিনের সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যামগুলো।
আর্মেনিয়ার থেকে সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা আজারবাইজানের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আর্মেনিয়া নাগর্নো-কারাবাখ থেকে সরে গেলেই তারা শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। তার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ প্রক্রিয়া জারি থাকবে।
অন্যদিকে, আর্মেনিয়াও জানিয়েছে, আজারবাইজান তাদের এলাকা দখল করার চেষ্টা করলে তাদের উচিত জবাব দেয়া হবে।
তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই আজারবাইজানকে সমর্থন দিয়েছে। আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে একটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করারও অভিযোগ করা হয়েছে তুরস্কের বিরুদ্ধে। যদিও তুরস্কের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিতর্কিত অঞ্চলটি নিয়ে চলমান সংঘাত নিরসনে ককেশীয় অঞ্চলের দেশ দুটিকে শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও তাতে কর্ণপাত না করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ সংঘাত বেশিদিন চললে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতো আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মিত্র দেশগুলোও এতে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে তৈরি হতে পারে চরম সংকট।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি