আজ (বুধবার) লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামে নেইমারের দল।বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আগে কখনোই পেরুর বিপক্ষে হারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১৩ বারের দেখায় ব্রাজিল ৯টিতেই জিতেছিল, বাকি চার ম্যাচ ড্র হয়। আরও একটি ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নেইমার জুনিয়রের দারুণ ক্রসে হেড দিয়ে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। একমাত্র গোলেই ব্রাজিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচের আগেই পেরুর ওঝারা জানিয়েছিলেন, ‘তুকতাক’ কৌশল অবলম্বন করে তারা নেইমারের পা বেঁধে ফেলেছে। যাতে ম্যাচে তিনি গোল না করতে পারেন। তবে মাঠে এই ব্রাজিল তারকাকে বেশ প্রাণবন্ত-ই দেখা গেছে। বেশ কিছু সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রায় গোলের কাছাকাছিও গিয়েছিলেন নেইমার। তবে পেরু গোলরক্ষকের দারুণ প্রচেষ্টায় তাকে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। গোলখরায় ভোগা রিচার্লিসন কয়েকজনের মাঝখানে ঢুকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে সেটি ভিএআরের কল্যাণে বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে ম্যাচের জয় নির্ধারক গোলের জন্য সেলেসাওদের ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল।
বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাচজুড়ে গোল পেতে ভুগতে হয়েছে লাতিন জায়ান্টদের। তবে ভিএআরে বাতিল হওয়া গোলটিসহ মোট দুবার পেরুর জালে বল পাঠিয়েছিল ব্রাজিল। অফসাইডের বাধায় দুটি গোলই বাতিল হয়েছে। ফিরতি বল পাওয়ার পর ১৭ মিনিটে যেমন রাফিনিয়া বল জালে জড়ান। এরপর আগের ম্যাচেও দারুণ প্রভাব রাখা ব্রুনো গিমারেসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রিচার্লিসন। সেই গোলটি ভিএআরের পাঁচ মিনিটের পরীক্ষার পর বাতিল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে এরপরও ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার মাধ্যমে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি জোরালো শট নেন নেইমার। আগের ম্যাচেই তিনি ব্রাজিলের হয়ে কিংবদন্তি পেলেকে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার শটটি পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসের দেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে যায়!